ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়েছে

313103সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর সেক্রেটারী নাজিব আহসান বলেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের আইন বহির্ভূত আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দেশে চিহ্নিত, আসল অপরাধীদের বিচারের পরিবর্তে বিরোধী মতের মেধাবী ছাত্রদের আটকের পর বন্দুক যুদ্ধের নামে হাস্যকর মিথ্যা, বানোয়াট কল্পকাহিনী সাজিয়ে হত্যা করে চলেছে। তারা নিরপরাধ শিবির নেতাদের আটক করে দিনের পর দিন অস্বীকার করে নির্মম নির্যাতনের পর পাখির মতো গুলি করে হত্যার পর খাল বিলে ফেলে দিচ্ছে। দেশের মানুষকে বোকা মনে করে তারা হত্যার মতো জঘণ্য অপকর্মকে বেছে নিয়েছে। বাহিনীর এমন ঘৃণ্য কর্মকান্ডে মানুষের আস্থা হারিয়ে উল্টো তাদের প্রতি শান্তি প্রিয় জনগনের মাঝে অজানা আতংক দেখা দিয়েছে। কারণ এ বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিজেদের সাংবিধানিক দায়িত্ব বাদ দিয়ে সরকারের মাত্রাতিরিক্ত আজ্ঞা পালন করতেই বেশি ব্যস্ত রয়েছে। এ সুযোগ যথার্থভাবে কাজে লাগাতে গিয়ে তারা পাইকারী হারে অপরাধ কর্ম ও মানুষ হত্যা করে দেশকে মৃত্যুপরীতে পরিণত করেই চলেছে। দেশের সর্বত্র মানুষের লাশ আর লাশ খুঁজে না পাওয়াটা যেন রীতি মতো অবাক বিস্ময়ের ব্যাপারে পরিণত হচ্ছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়া ব্যক্তিরা তাদের শিখিয়ে দেয়া মিথ্যা স্বীকারোক্তি না দিলে তাদেরকে বন্দুক যুদ্ধের নাটক সাজিয়ে পৃথিবী থেকে চির বিদায় করে দিচ্ছে যার সর্বশেষ উদাহরণ ঝিনাইদহে শিবির নেতা আনিসুর রহমান ও শহীদ আল মাহমুদকে হত্যার ঘটনা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সাঁড়াশি অভিযান চলাকালীন সময়ে শিবির নেতাদের আটক করে অস্বীকারের ১৫ দিন পার হবার পর মিথ্যা নাটক সাজিয়ে পবিত্র রমজান মাসে নিরপরাধ এ দু’মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করেছেযার নিন্দা জানানোর মতো ভাষা সভ্য সমাজের জানা নেই। হত্যার পর জেলা পুলিশ দায়িত্বহীন ভাবে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে গনমাধ্যমে বানোয়াট বক্তব্য প্রদান করে মানুষের কাছে হাসির খোরাক জন্ম দিয়েছে। দেশে কোন ধরণের অপরাধ সংঘটিত হলেই সংশ্লিষ্ট বাহিনী কালক্ষেপন না করে ঘটনার সাথে শিবির জড়িত বলে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিয়ে সরকার ও উর্ধ্বতন মহলের বাহাবা কুড়ানোর কাজে বেশি ব্যস্ত থেকেছে। তাদের এরূপ কর্মই প্রমান করে তারা সরকারের আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়েছে।

ঝিনাইদহের দু’শিবির নেতা আনিসুর রহমান ও শহীদ আল মাহমুদকে বন্দুক যুদ্ধের নামে পুলিশী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শিবিরের বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ (০১/০৭/১৬) এসব কথা বলেন। নগর উত্তর শিবির নেতা এস কে সিকদার’র পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন শিবির নেতা মাহবুবুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম, সালাম সিদ্দিক,আবু আব্দুল্লাহ, কামাল কুতুবী, আবু জোবায়ের, সুজন আরিফ প্রমুখ।

শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন ছাত্রশিবির কখনো জঙ্গিবাদ বা অন্য কোন অগণতান্ত্রিক পন্থায় বিশ্বাসী নয়। দেশে প্রচলিত সব ধর্মের প্রতি শিবির সব সময় শ্রদ্ধাশীল যা ইসলামে স্বীকৃত। পুরোহিত হত্যা কিংবা জঙ্গিবাদের সাথে শিবিরের কোন নেতা বা কর্মীর ন্যূনতম কোন সম্পর্ক অতীতেও ছিল না বর্তমানেও নেই। এর সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়ানো সরকার ও দলকানা দায়িত্বহীন ব্যক্তির হীণ মানসিক বিকারগ্রস্থতার বহিঃ প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। নেতৃবৃন্দ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিকল্পিতভাবে মেধাবী ছাত্রদের হত্যা পরিহার করে পুলিশ কর্তাদের নীতিহীন বক্তব্য প্রত্যাহার ও নিজেদের স্বীয় দায়িত্ব পালনের প্রতি মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান। অন্যথায় এ সকল হত্যাকান্ডের জবাব নিতে শান্তিপ্রিয় ছাত্র জনতা কখনো কার্পণ্য করবে না। নগরীর আন্দরকিল্লা থেকে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলটি দিদার মার্কেট এলাকায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

 

পাঠকের মতামত: